'জোড়া কলা খেও না তাহলে জোড়া বাচ্চা হবে'-একজন গর্ভবতী মায়ের বোধহয় সবচেয়ে বেশি শোনা কথা এটি। আসলে এটি একটি কুসংস্কার বা ফুড ট্যাবু যা এখনো অনেক জায়গায় প্রচলিত। মূলত অজ্ঞতা এবং পুরনো রীতিনীতি থেকে অনেকে এসব মেনে চলেন। গর্ভাবস্থায় আরো কিছু খুব প্রচলিত ফুড ট্যাবু হলঃ

- গর্ভবতী মায়ের বেশি খাওয়া উচিত না কারন এতে বাচ্চা বড় হয়ে যাবে এবং জন্মদানের সময় সমস্যা হবে

- বোয়াল মাছ খেলে সন্তানের মুখ ও মাছের মত বড় হবে

- মাছ খেলে সন্তানের ত্বক মাছের আশেঁর মত হবে।

- শুকনা মাছ বা শুটকি খেলে সন্তান কম মেধাবী হবে

- চিংড়ি খেলে মায়ের বুকের দুধ উৎপন্ন হতে বাধা দেয়

- হাসেঁর মাংস খেলে শিশু কর্কশ কন্ঠের অধিকারী হয়

- হাসেঁর ডিম খেলে সন্তানের মাথায় সমস্যা দেখা দেয়

- সন্তান জন্মদানের পর শালদুধ খেতে মানা করা হয় কারন অনেকের ধারনা এতে শিশুর পেটে গন্ডগোল হতে পারে। তাই শালদুধ ফেলে দেয়া হয়

- কলা খেলে সন্তানের খিঁচুনি ও ধনুষ্টংকার রোগ হয়

বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে এসব কথার মূলত কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই বরং এর কারনে একজন গর্ভবতী মা অনেক পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হোন। এছাড়া শালদুধ শিশুকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বৃদ্ধি করে। তাই জন্মের পর শিশুকে শালদুধ পান করানো উচিত। তাই এসব ট্যাবু এড়িয়ে গর্ভবতী মা এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে আমাদের সকলের।

Comments